রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই স্বস্তি দিল। দীর্ঘদিন বাদে দৈনিক সংক্রমণ ছয়শোর গণ্ডির নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫৭ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও হ্রাস পেয়েছে। একদিনে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। সবচেয়ে স্বস্তির খবর হল, ফের মৃত্যুহীন দিন কাটাল কলকাতা। রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশে।
কড়া বিধিনিষেধের ফলে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। দৈনিক সংক্রমণ টানা নিম্নমুখী হওয়ার ঘটনা অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে ৩০ হাজার ১৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ৫৫৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৬০ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশে।’
পাশাপাশি করোনার ছোবলে দৈনিক মৃত্যুও আগের দিনের তুলনায় নিম্নমুখী। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনার ছোবলে প্রাণ ঝরেছে ১১ জনের। যার ফলে মারণ ভাইরাসে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৪০ জন। সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলায় একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনার ছোবলে কেউ প্রাণ হারাননি।’
দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেখচিত্র যেমন নিম্নমুখী, তেমনই দৈনিক সুস্থতার হারও আশার আলো জাগাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭১৯ জন। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনাকে জয় করে সুস্থ হলেন ১৫ লক্ষ ৫ হাজার ৮০৮ জন। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৭৩টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩১২ জনে।