কোভিড আবহেও রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের ১২৪ কোটি

রাজ্য
সময় লাগবে পড়তে: < 1 মিনিট

২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসা ইস্তক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করে গিয়েছেন রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে। সেই কারনেই তিনি জেলায় জেলায় গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের নিয়ে স্বনির্ভর দল গঠনের ওপরে জোর দিয়েছেন। তাঁর সেই প্রয়াসেরই ফল এ রাজ্যের মহিলাদের নিয়ে ৮০ হাজারেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে ওঠা। দেশের আর কোনও রাজ্যে ৮০ হাজারের বেশি তো দূরের কথা ৫০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীও নেই। বাংলা এখানেও অনন্য। আর এই দেড় বছরের লকডাউন কালেও যে সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাজকর্ম থমকে নেই সেটাও এবার সামনে এল। লকডাউনের এই দেড় বছরে রাজ্য সরকার রাজ্যের ৮০ হাজারেরও বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ১২৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে যা পেয়ে কমপক্ষে ৮ লক্ষ মহিলা উপকৃত হয়েছেন।
 
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই নারী ক্ষমতায়ন ও নারীর উন্নয়নে জোর দিয়েছে। তার জেরেই গ্রামবাংলার অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলা হয়। বাম জমানাতেও স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছিল বাংলায়। কিন্তু এদের বেশিরভাগেরই উপস্থিতি ছিল খাতায়কলমে।

আরও পড়ুন:  ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে দেশজুড়ে বিনামূল্যে রেশন-চিকিৎসা, ঘোষণা মমতার

পাশাপাশি প্রকৃত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সেভাবে আর্থিক সাহায্যও পেত না। কিন্তু পরিবর্তনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রত্যেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির দল গঠনের পর ৩ মাসের মেয়াদ শেষে তাদের কাজকর্ম মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হয়। সেই মূল্যায়ণ পদ্ধতিতে যোগ্যতামান অর্জন করলেই রাজ্য সরকারের তরফে সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ১৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। আর এই অর্থই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে তাঁদের কাজকর্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকটাই সাহায্য করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *