প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মৎসজীবীদের জালে ধরা পড়ল ইলিশ৷ কয়েকদিনে প্রায় ৬ হাজার কেজি রুপোলি শস্য ধরা পড়েছে৷ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ভোজনরসিক বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে ইলিশ৷ কয়েকদিন আগে ইলিশের সন্ধানে নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগরদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দুই হাজার ট্রলার রওনা দিয়েছিল৷
রবিবার সমুদ্র থেকে বিপুল পরিমাণে ইলিশ নিয়ে নামখানার বাজারে ফেরেন মৎসজীবীরা৷ এবার সমুদ্রের রূপালি ফসল রাজ্যের বাজারগুলিতে পৌঁছে যাবে। তার আগে ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র বাজার মাছের আড়তে ব্যবসায়ীরা মাছ কিনবেন৷ মৎসজীবীদের জালে ধরা পড়া ইলিশের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি।এই মাছের দাম প্রায় ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে৷ আর এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম হাজারের বেশি৷ মৎসজীবীদের বক্তব্য, গভীর সমুদ্র থেকে ১৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে নামখানা ঘাটে ঢুকেছে। প্রতিটিতেই প্রায় ৪০০ কেজি করে ইলিশ আছে।
সেই ইলিশ পৌঁছে যাবে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার মাছের আড়তে । সেখানে নিলামের পর সমুদ্রের রূপোলি ফসল পৌঁছে যাবে রাজ্যের বাজারগুলিতে । যে ইলিশ সমুদ্র থেকে এসেছে তার ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। মরসুমের প্রথম ইলিশ হওয়ায় দাম একটু চড়া রয়েছে। রবিবার পাইকারি বাজারে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এছাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৯৫০ টাকা। ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজন ইলিশের দাম ছিল কেজি প্রতি এক হাজার ৩০০ টাকা।
কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর এবং রায়দিঘির প্রায় তিনহাজার ট্রলার মূলত গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরে। সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে নামলেও, একের পর এক কোটাল এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে গত তিনবার ইলিশ না পেয়ে কিছুটা ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হয়েছে অধিকাংশ ট্রলারকে৷ তবে এবার উলটপুরাণ।