মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নেই জনাদেশ পাহাড়বাসীর

নিউজ রাজ্য
সময় লাগবে পড়তে: < 1 মিনিট

এগিয়ে বাংলা ওয়েবডেস্কঃ একদশক পর গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন বা জিটিএ’র ভোট হল পাহাড়ে। তাই পাহাড়ের মানুষের জনাদেশ জানতে তীব্র কৌতুহল তৈরি হয়েছিল জনমানসে। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল পাহাড়ের মানুষ ভোট দিয়েছেন উন্নয়ন আর গণতন্ত্রের পক্ষেই। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোনও স্থান সেখানে নেই মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বার বলা সেই কথাতেই শিলমোহর পড়ল পাহাড়ের জনাদেশে।

তৃণমূলের সঙ্গে অলিখিত জোট গড়েই বুধবার গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। মোট ৪৫টি আসনের মধ্যে ২৭টি দখলে এসেছে অনীতদের। তবে প্রথম বার জিটিএ নির্বাচনের লড়ে ডালি ব্লুমফিল্ড সমষ্টি-সহ পাঁচটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। সিপিএম ১১টি, কংগ্রেস ৫টি আসনে লড়লেও কোনও আসনে জয় পায়নি।

আরও পড়ুন:  সুন্দরবন থেকে সীমান্ত ঘুরে ফুটবলের নতুন প্রজন্ম তৈরীর উদ্যোগ

পুর নির্বাচনে চমক দিয়েছিল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। তবে জিটিএ ভোটে নতুন এই দল সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। হামরো পেয়েছে সাতটি আসন। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন জিটিএ-এর সাতটি আসনে। বিমল গুরুং যখন পাহাড়ে বনধ ডেকে ফেরার হয়েছিলেন সেই সময় পাহাড়ে বনধ তুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে এগিয়ে এসছিলেন বিনয় তামাং ও তাঁর ছায়াসঙ্গী অনীত থাপা। সেই সময় দুইজনই কার্যত পাহাড়কে সামলেছিলেন।

পাহাড়ের মানুষের পাশে থেকেছিলেন। সেই সময় রাজ্য সরকার বিনয়কে জিটিএ চেয়ারম্যান করেছিল। গুরুং ফের পাহাড়ে ফিরে আসার পরে সেই পদ থেকেই ইস্তফা দেন বিনয়। সেই সময় রাজ্য সরকারই অনীতকে জিটিএ চেয়ারম্যান করে। সেই পদ পেয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই জিটিএ চালাচ্ছিলেন অনীত।

আরও পড়ুন:  স্কুল খোলার আগে সচেতনতা, দফতরের তরফে প্রকাশিত ২৮ পাতার বুকলেট

রাজনৈতিক ভাবেও তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছিলেন তিনি। ভোটে এরই সুফল মিলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।এদিন দুর্গাপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে পাহাড়ের ভোটের ফল নিয়ে অনীত থাপাদের অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *