উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডে মিললো জমি নিয়ে দড়ি টানাটানির নজির। সেখানকার এক ব্যক্তি জগদীশচন্দ্র দে, তাঁর দাবি, জমিটি তাঁর, তিনি সেই জমিতে থাকতে দেন এক মহিলাকে, ২০২২ সালে সেই মহিলা স্বামীরূপে আনুষঙ্গিক কিছুজনকে সঙ্গে নিয়ে জগদীশবাবুর অজান্তেই সেই জমি নিজের নামে করিয়ে নেয়।
জগদীশবাবু জানতে পারায় স্থানীয় থানায় FIR করার পর পুলিশ আধিকারিকরা এসে ভেরিফিকেশন করেন। শুধু তাই নয়, আদালতের দ্বারস্থও হন। কিন্তু জগদীশবাবুর অভিযোগ, তিনি সুরক্ষিত নন। এই জমি তার হওয়া সত্বেও তাঁকে ধমকাচ্ছে তাঁর বিরোধী পক্ষ।
কালবিলম্ব না করে এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়ে জগদীশবাবু শরণাপন্ন হন ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছেও। তবে জমির কাগজপত্র খতিয়ে না দেখার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও। কাউন্সিলর জগদীশবাবুকে জানান, তিনি কোনো তৃতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। জমির কাগজপত্রের বদলে কাউন্সিলর যখন জগদীশবাবুর কাছে FIR-এর কাগজপত্র চান, তখন জগদীশবাবু তা দিতে চাননি। যার জেরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা দু’জন।
জগদীশবাবুর বক্তব্য, “আমি যাদের বিরুদ্ধে জমি নেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় কেস করেছি সেই অপোসিট পার্টির পক্ষ নিয়ে আমার জমিতে দেওয়াল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে কাউন্সিলর।”
উল্টোদিকে কাউন্সিলরের মুখে শোনা গেছে অন্য সুর। কাউন্সিলর কথায়, “আমি কাউন্সিলর হিসেবে জমি দেখার মালিক নই। আমি দু’জনকেই বলেছিলাম কাগজপত্র দিয়ে যেতে বিষয়টি আমি দেখব। তবে একজন দেয় অন্যজন দিতে অস্বীকার করে। যিনি কাগজ দিয়েছেন আমি তাকে পৌরসভার চেয়ারম্যান, থানার আইসি ও কোর্টের দ্বারস্থ হতে বলি।”
কাউন্সিলর আরও জানান, “একজন কাউন্সিলর হিসেবে জমি কার, এটা বিচার করার দায়িত্ব আমার না। আমি তাদের চিঠি করার কথা বলেছি। এটা কোর্টের বিষয়বস্তু হবে কয়েকদিনের মধ্যে। আমি এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।”