Kanchanjungha Train Accident : ছেলের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ধনিয়াখালির ২ পরিবার

নিউজ রাজ্য
সময় লাগবে পড়তে: < 1 মিনিট

সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দার্জিলিং জেলার রাঙাপানি ও চটের হাট স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের (Kanchanjunga Express) পিছনে দ্রুতগতিতে এসে ধাক্কা মারে একটি কন্টেনারবাহী মালগাড়ি। সংঘর্ষের অভিঘাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের শেষ কামরাটি মালগাড়ির ইঞ্জিনের ওপরে উঠে যায়। তার আগের দুটি কামরা ছিটকে পড়ে রেল লাইন থেকে। এই দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৫০ জন।

কিন্তু কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। প্রসঙ্গত, মেশিনে ধান কাটার কাজে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন হুগলির ধনিয়াখালি মদনমোহন তলার শৌনক সাহা ও তন্ময় ঘোষ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরার যাত্রী ছিলেন তাঁরা। ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন শৌনক। আহত হন তন্ময়ও। দুজনেই ভর্তি হাসপাতালে। ট্রেন দূর্ঘনার খবর আসে তাদের বাড়িতেও। পরিবারের সঙ্গে সোমবার থেকে দু তিনবার কথা হলেও গভীর উদ্বিগ্নে দিন কাটাচ্ছেন দুটি পরিবারের সদস্যরা। সুস্থ হয়ে ঘরের ছেলে কবে ঘরে ফিরে আসবে তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার প্রতিবেশীরাও।

আরও পড়ুন:  দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন

আহত তন্ময় ঘোষের মা বাসন্তী ঘোষ বলেন, ফোনে কথা হয়েছে ছেলের সঙ্গে। বলেছে ভালো আছে। শরীরের একাধিক জায়গায় লেগেছে।  অন্যদিকে, সৌনক সাহার বাবা প্রদীপ সাহা বলেন,  ওরা ধান কাটার গাড়িতেই ফেরে। এবারে দেরি হবে বলেই ট্রেনে ফিরছিল। এখন ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক এটাই চাই।

ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে সমব্যাথী এলাকা বিধায়ক অসীমা পাত্র। মুখ্যমন্ত্রীর থেকে ফোন পেয়ে আহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিধায়ক জানান, এলাকার দুই যুবক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন।  পরিবারের পাশে আছি। বাড়ি ফেরানোর জন্য এবং পরবর্তী চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকার সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *