এগিয়ে বাংলা ওয়েবডেস্কঃ দলের কড়া বার্তা পর প্রার্থী থেকে নাম প্রত্যাহার গোবরডাঙ্গার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুভাষ দত্তের। যদিও সুভাষ দত্তের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহবানে কারণেই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে দল থেকে বহিষ্কারের ভয়েই প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহবানে অবশেষে প্রার্থীপদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুরসভার প্রাক্তন প্রধান সুভাষ দত্ত। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে তিনি এবারে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুরসভার ২ বারের প্রধান ছিলেন সুভাষ দত্ত। তাঁর আমলে গোবরডাঙা এলাকায় প্রচুর উন্নয়নের কাজ হয়েছে।
একসময় ভগ্নপ্রায় গোবরডাঙার একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য মমতা ব্যানার্জির কাছে আবেদন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে এ ব্যাপারে অনীহা দেখালেও পরবর্তীতে এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করার কারণে এলাকার করোনা আক্রান্ত মানুষরা উপকৃত হয়েছিলেন। আগামী দিনে এই হাসপাতালটিকে সাধারণ হাসপাতালে পরিণত করা হবে বলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এমনই এক পরিস্থিতিতে এবারের পুর নির্বাচনে তৃণমূল সুভাষ দত্তকে টিকিট দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই অসম্মানিত এবং অভিমানী হয়ে পড়েন সুভাষ বাবু। এলাকার মানুষের দাবী মেনে এরপর তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।এদিকে, নির্বাচনের মুখে হঠাৎ করে মমতা ব্যানার্জি ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আহবানে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন। শনিবার রাতে এ ব্যাপারে তিনি সুব্রত বক্সীকে লিখিত আকারে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।