সকাল থেকে অবশ্য আকাশ জুড়েই ছিল রোদের খেলা। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Office) তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ষষ্ঠী-সপ্তমীটা হয়তো নির্বিঘ্নে কাটলেও অষ্টমীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তা চলতে পারে নবমী-দশমী পর্যন্ত। অর্থাৎ, পুজোর বাকি দিনগুলোতে বৃষ্টির পূর্বাভাস।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ১৩ তারিখ অষ্টমীর দিন থেকে বর্ষা বিদায়ের পালা শুরু বঙ্গে। তার আগে ষষ্ঠী ও সপ্তমীতেও বিক্ষিপ্তভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এই ২ দিন মোটের ওপর আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে। ১৩ তারিখ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কলকাতার দু একটি জায়গায় এবং দুই মেদিনীপুর , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া (Howrah), হুগলিতে (Hooghly) হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
তবে, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে বলেই আবহাওয়া দফতরের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে। নবমীতে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে দক্ষিণবঙ্গে। দুই মেদিনীপুর , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির কিছু কিছু এলাকায় কম বেশী বৃষ্টিপাত হবে। তবে, দশমীর বিদায় বেলায় দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) কয়েকটি জেলায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস মিলেছে।
এর পাশাপাশি, আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে উত্তরবঙ্গবাসী পুজোর দিনগুলোতে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া উপভোগ করতে পারবেন। বোধন থেকে শুরু করে নবমী নিশি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে দশমীর দিন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বেশ কয়েকটি জেলা যেমন – মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে মোটের ওপর উত্তরবঙ্গের (North Bengal) আবহাওয়া পুজোর দিনগুলিতে শুষ্ক থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।