একুশের নির্বাচনে বঙ্গ জয়ের অন্যতম নায়ক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে বারবার আক্রমণ করতে, এমনকি অভিষেকের গতিবিধির উপর নজর রাখতে দিল্লি থেকে কারসাজি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মদতে অভিষেকের বিরুদ্ধে নানান কারসাজি করা হচ্ছে। কখনও পেগাসাস দিয়ে ফোনে আড়ি পাতা আবার কখনও কয়লা ও গরু পাচারের নামে সাংসদের স্ত্রীকে হেনস্থা। ভোটের আগে থেকে একাধিক জায়গায় অভিষেকের উপর অমিত শাহের চরবৃত্তি নিয়ে তোপ দেগেছেন মমতা।
যার মাত্রা বাড়ল আজ, গত সোমবার ত্রিপুরায় অভিষেকে কনভয়ে হামলা চালায় বিজেপির গুণ্ডারা। এরপরেই গতকাল ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে ও তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রোধ করতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে যান সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তাঁর ত্রিপুরা সফরেও নজর রাখছে বিজেপি।
এদিন পিজিতে জয়া-সুদীপকে দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ত্রিপুরায় অভিষেক যাওয়ার পর যে ভাবে ওর গাড়িতে মারা হয়েছে, তাতে ওর মাথায় আঘাত লাগতে পারত। পরে প্রশাসনের তরফে বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। এমনি গাড়ির কাচ হলে চুরমার হয়ে যেত। সঙ্গে চুরমার হয়ে যেতে পারত ওর মাথাও। আর সবটাই পুলিশের সামনে হয়েছে। নানা রকম পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অভিষেক বিমানে কোথাও গেলে, ওর পাশের পাঁচটা আসন বুক করে গুন্ডা তুলে দেওয়া হচ্ছে। অভিষেকের জীবন বিপন্ন।’
আর এই সবটাই করছেন শাহ, তাঁর নির্দেশেই গুণ্ডা বাহিনী অভিষেককে টার্গেট করেছে। ভোটের আগেও অভিষেকের গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। পেগাসাস নিয়ে তাঁর ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে বারবার কেন্দ্রকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ অভিষেকের জীবন বিপন্ন করার জন্য শাহ উঠেপড়ে লেগেছে এই অভিযোগ আবারও এদিন করলেন তৃণমূল নেত্রী।